জাতীয়

টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আজিজ প্রিন্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

  প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২৫ , ১০:০১:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

Screenshot 5

স্টাফ রিপোর্টার:: টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আজিজ প্রিন্সের সুনাম ক্ষুন্ন করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুর রহমানের পালিয়ে যাওয়ার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ। যেখানে জনপ্রিয় যুবদল নেতা প্রিন্সকে সহযোগিতাকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ অস্পষ্ট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার মাত্র।
দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, রফিকুল আজিজ প্রিন্সের জনপ্রিয়তাকে ঈষ¦ান্বিত হয়ে এইসব মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এইসব অপপ্রচার গাজীপুরবাসীর চোখে ধুলো দিতে পারবে না। গাজীপুরের সচেতন নাগরিকরা জানেন রফিকুল আজিজ প্রিন্স সবসময় দল ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এমন অসত্য নাটক নির্মাণ করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা দাবি করছি— এই মিথ্যা প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করা হোক এবং প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করে গাজীপুরবাসীকে অবহিত করা হোক। গণতন্ত্রের পক্ষে, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গাজীপুরবাসী ঐক্যবদ্ধ।
আজ যারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছেন, তারা জানে না বা মানতে চায় না— রাজনীতি মানে পদ নয়, চেয়ার নয়, গলা ফাটানো স্লোগানও নয়। রাজনীতি মানে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দলের দুঃসময়ে লড়ে যাওয়া, আর কারও দেখা না গেলেও নিজের অবস্থান থেকে কিছু করে যাওয়া।
প্রিন্স ভাই কখনো নিজের অবদান নিয়ে বিজ্ঞাপন করেননি। যারা তাকে চেনে, তারা জানে— তিনি কি করেছেন। আর যারা এখন প্রশ্ন তুলছে, অপবাদ দিচ্ছে— তারা আসলে সত্যি জানে, কিন্তু মানতে পারছে না। কারণ তারা জানে, এই মানুষটা সামনে এলে, তাদের জায়গা থাকবে না। রাজনীতি যদি হয় সেবা আর বিশ্বাসের জায়গা— তাহলে প্রিন্স ভাই এর চেয়ে উপযুক্ত নাম খুব কমই আছে। বাকিটা সময়ই বলবে।
অথচ প্রশ্ন উঠা উচিত, যারা আজ এই অভিযোগ করছে, তারা কি তখন বিএনপি কি তা জানতোও? তারা কি জানে ৯০-এর দশকের ঐতিহাসিক আন্দোলনে প্রিন্স ভাই ছিলেন মাত্র ১০ জন মূল নেতৃত্বের একজন?
এই সত্যটা এমনকি দলের কিছু শীর্ষ নেতাও জানেন, যারা হয়তো প্রিন্স ভাইকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে স্বীকার করেন তার অবদান। এখন যখন কমিটি গঠন প্রায় নিশ্চিত, এবং প্রিন্স ভাইয়ের সভাপতি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তখন কিছু স্বার্থান্বেষী লোক, যারা নিজেরা পড়ে থাকবে, তারা বড় নেতাদের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আজ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, টঙ্গী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আজিজ প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্ত রাজনৈতিক দল। সেই দলের একজন সেবক মাত্র। আমি রাজনীতি করি জনগণের কল্যাণে। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি রাজনীতি করতে গিয়ে কোন চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি করিনি। গাজীপুর মহানগর বিএনপির পদপদবী নিয়ে অনেকেই দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি শুরু করে দিয়েছে। এইসবের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি যেন গাজীপুর মহানগরের কমিটিতে স্থান পেতে না পারি। এ বিষয়টি বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত আছেন। দল যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিব। আমি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও খবর

Sponsered content