খেলাধুলা

গেটস ফাউন্ডেশনের গোলকিপারস চ্যাম্পিয়ন স্বীকৃতি পেলেন ড. তাহমিদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক :: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১০:৩৮:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares
Screenshot 3

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদকে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ২০২৪ সালের জন্য গোলকিপারস চ্যাম্পিয়নদের একজন হিসেবে সম্মানিত করেছে। শিশু পুষ্টি নিয়ে অবদানের জন্য এই সম্মাননা পেয়েছেন তাহমিদ আহমেদ। শিশু পুষ্টি, বিশেষ করে মাইক্রোবায়োম-ডিরেক্টেড রেডি-টু-ইউজ বা সহজে ব্যবহারোপযোগী থেরাপিউটিক ফুড নিয়ে তার কাজ, যা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুদের অপুষ্টি মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইসিডিডিআর,বি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘গোলকিপারস ২০২৪ : রেসিপি ফর প্রগ্রেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাটি ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সপ্তাহের সঙ্গে মিলিয়ে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় বলে জানায় আইসিডিডিআর,বি। একটি উষ্ণায়ন বিশ্বে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পুষ্টি এবং উদ্ভাবনী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে এটি আয়োজন করা হয়। ড. তাহমিদ আহমেদসহ দারিদ্র্য মোকাবেলা এবং খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতিতে অবদানের জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের রতন টাটাসহ মোট ১০ জন এই সম্মাননা পেয়েছেন।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ড. জেফরি গর্ডনের সঙ্গে পরিচালিত ড. আহমেদের যুগান্তকারী গবেষণা মাইক্রোবায়োম-ডিরেক্টেড রেডি-টু-ইউজ থেরাপিউটিক ফুড উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শিশুদের জন্য একটি পরিপূরক খাবার, যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্ভাবনী পরিপূরক খাবার বর্তমানে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা শিশুদের বৃদ্ধি এবং পুষ্টির উন্নয়নে আশাব্যঞ্জক সাফল্য দেখাচ্ছে। এই বিশেষ স্বীকৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ড. আহমেদ বলেন, ‘গোলকিপারস চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া একটি বড় সম্মানের বিষয়।
এই পুরস্কারটি আইসিডিডিআর,বি-তে আমার সহকর্মী এবং বিশ্বজুড়ে অনেক সহযোগী গবেষকসহ অনেকের আন্তরিক প্রচেষ্টার একটি দৃষ্টান্ত। অপুষ্টি এখনো রয়ে গেছে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের সমস্যা এটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতার কারণে প্রতিটি শিশু যেন পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারে তা নিশ্চিত করার লড়াই অনেক বেশি জরুরি। আর এটি নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর, আরো সহনশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে আমাদের গবেষণা এবং উদ্ভাবনী সমাধানে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে।’

0Shares

আরও খবর

Sponsered content