প্রতিনিধি ৪ মে ২০২৫ , ৮:১৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একটি বাণিজ্যিক প্রকল্প ‘ক্যাপিটা টাইমস স্কয়ার’ দীর্ঘ দুই দশকেও ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ৫ শতাধিক দোকান মালিক বছরের পর বছর ধরে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ২০০৫ সালের নভেম্বরে ‘ ক্যাপিটা টাইমস স্কয়ার মার্কেট’ নামক এ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কর্তৃপক্ষ ৩৬টি কিস্তিতে দোকান বিক্রির ঘোষণা দিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করে। ২০১০ সালের মধ্যে দোকান হস্তান্তর করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় । কিন্তু দীর্ঘ দুই দশক পার হয়ে গেলেও এখনও মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
২০১২ সালে ডেভেলপার কর্তৃপক্ষ দোকান মালিকদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে যা চুক্তিতে উল্লেখ ছিল না। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এসি ও টাইলসের খরচ কয়েকগুণ বাড়িয়ে মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় একাধিকবার মিথ্যা আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্তৃপক্ষ শুধু সময় ক্ষেপণ করেছে।
২০১৭ সালের মে মাসে দোকান হস্তান্তরের চূড়ান্ত সময়সীমা হিসেবে ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয় এবং জানানো হয় ২০১৮ জানুয়ারী নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর না হলে প্রতি দোকান মালিককে মাসে ৩০০০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করা হবে। তবে বাস্তবে নির্মাণ কাজ তখনো ৫০ শতাংশের বেশি অগ্রসর হয়নি।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে কিছু মালিককে ডেকে দোকান হস্তান্তরের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আবারো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ও প্রকল্পটির বেশিরভাগ অংশ ছিল অসম্পূর্ণ। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফি এক লক্ষ বিশ হাজার, সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য নানা খাতে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে একাধিকবার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সার্ভিস চার্জ ধরা হয় প্রতি বর্গফুটে ৯ টাকা, যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি বর্গফুটে ৪০ টাকা। এই অর্থ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করলে ১০ শতাংশ সুদ আরোপ করার হুমকিও দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক দোকান মালিক অভিযোগ করে বলেন, “২০ বছর ধরে আমাদেরকে শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দোকান বুঝিয়ে না দিয়ে, উল্টো আমাদের কাছেই বিদ্যুৎ, সার্ভিস চার্জসহ বিভিন্ন খরচ দাবি করা হচ্ছে। এটি একধরনের প্রতারণা। দোকান মালিকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, মার্কেটের চতুর্থ থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত এখনও অসম্পূর্ণ, অথচ কর্তৃপক্ষ সার্ভিস চার্জ দাবি করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডেভেলপার কর্তৃপক্ষেরসঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।